সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৯ পূর্বাহ্ন
বিডিনিউজ : কোভিড-১৯ মহামারীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অপ্রস্তুত অবস্থায় দূরশিক্ষণে জোর দিলেও সব শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের কাছে স্মার্টফোনসহ প্রয়োজনীয় ডিভাইস না থাকায় সবাইকে অনলাইন ক্লাসে আনা যাচ্ছে না।
অনেক শিক্ষার্থীর হাতে স্মার্ট ফোন থাকলেও ইন্টারনেট প্যাকেজ কেনার সামর্থ্য না থাকায় অনলাইন ক্লাসে যোগ দিতে পারছে না।
এই পরিস্থিতিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলছেন, কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাইলে তাদের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা সুদে কিস্তিতে মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ এবং স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করা হবে।
অনলাইন ক্লাসে সব শিক্ষার্থীকে যুক্ত করতে যাদের স্মার্টফোন, ট্যাব বা ল্যাপটপ দরকার, সরকারের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে উদ্যোগ নিয়ে তা সরবরাহের তাগিদ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
শিক্ষার্থীদের জন্য স্মার্ট ডিভাইস ও ইন্টারনেট জোগানের সঙ্গে শিক্ষার ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরিতে নজর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বাংলাদেশে প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা স্তরে চার কোটি পাঁচ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। দেশে মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা ১৬ কোটি ১৫ লাখ ছয় হাজার, এরমধ্যে ৩০ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন।
বিটিআরসির হিসেবে, দেশে ইন্টারনেট সংযোগ সংখ্যা ১০ কোটি ২১ লাখ ১৩ হাজার। এর মধ্যে নয় কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্তের পর গত ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আগামী ৬ অগাস্ট পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা আছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টানা বন্ধ থাকায় পাঠদানের ধারাবাহিকতা রাখতে গত ২৯ মার্চ থেকে মাধ্যমিকের এবং ৭ এপ্রিল থেকে প্রাথমিকের ক্লাস সংসদ টিভিতে দেখানো হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজেদের মতো করে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের হালচাল
দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে এক কোটি ৬৩ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬ জন, মাধ্যমিক স্তরে দুই কোটি এবং উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৪২ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ বলেন, (প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের) কার কাছে বেসিক ফোন, স্মার্টফোন বা কার বাড়িতে টিভি আছে সেই জরিপ চালানো হচ্ছে।
স্কুল বন্ধের মধ্যে সংসদ টিভিতে প্রাথমিকের যে ক্লাস দেখানো হচ্ছে, তা ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী দেখতে পাচ্ছে বলে ধারণা দেন তিনি।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ব্র্যাকের এক জরিপে বলা হয়, সংসদ টিভির ক্লাস অধিকাংশ প্রাথমিক-মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করতে পারেনি, ৫৬ শতাংশ শিক্ষার্থী টিভির ক্লাসে অংশ নেয়নি।
দূরশিক্ষণে যারা অংশ নিচ্ছে না, তাদের ৭১ শতাংশ বলেছে বাড়িতে টিভি, বিদ্যুৎ, কেবল লাইন বা ইন্টারনেট নেই। তাদের মধ্যে ২১ ভাগ শিক্ষার্থী জানে না এ ধরনের একটা ব্যবস্থা আছে।
মাধ্যমিক স্তরে প্রায় দুই কোটি শিক্ষার্থী থাকার কথা জানিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, এদের মধ্যে কত সংখ্যকের হাতে মোবাইল ফোন রয়েছে, সেই তথ্য তাদের কাছে নেই।
“সংসদ টিভিতে যে ক্লাস দেখানো হচ্ছে তা টিভির পাশাপাশি ফেইসবুক ছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যমে কত সংখ্যক সংখ্যক শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছাচ্ছে সেই জরিপ করে আমরা দেখেছি, ছয় শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাস দেখতে পারছে না।”
যত সংখ্যক শিক্ষার্থীর হাতেই স্মার্টফোন থাকুক না কেন স্বল্পমূলে তাদের জন্য ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করলে দূরশিক্ষণে আগ্রহ বাড়বে বলে মনে করেন গোলাম ফারুক।
“দুর্গম অঞ্চলে যেসব শিক্ষার্থী রয়েছে, তাদের কথাও মাথায় রাখতে হবে। কারণ অনেক অঞ্চলে ইন্টারনেটের গতি খুবই কম। তাদের জন্য ভিন্ন কিছু করতে হবে, নইলে তারা পিছিয়ে পড়বে।”
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম জানান, সরকারি-বেসরকারি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪২ লাখের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলছেন, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেট প্যাকেজ ও লোনে স্মার্ট ডিভাইসের ব্যবস্থা করতে শিক্ষামন্ত্রী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন তারা।
“সত্যিকার অর্থে যদি অনলাইনে ক্লাস চালাতে হয় এটাতে ছাত্রদের উৎসাহিত করতে হবে, তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ইন্টারনেট প্যাকেজ দিলে সুবিধা হবে, কারণ এতে খরচ আছে, অনেকের পক্ষেই এই বাড়তি খরচ বহন করা কষ্টকর।
“ভবিষ্যতের পৃথিবী অন্যরকম হয়ে যাবে। শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট প্যাকেজ পেলে ভালো হবে, সেই প্যাকেজ কীভাবে ব্যবহার করতে হবে সেই শর্ত দেওয়া যেতে পারে।“
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ হাজার শিক্ষার্থীর ওপর জরিপ করা হয়েছে জানিয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর কাছে স্মার্টফোন আছে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ডিভাইসের সমস্যা আছে তারা উদ্যোগ নিয়ে তাদের অ্যালামনাইদের মাধ্যমে এর সমাধান করতে পারেন।
“বুয়েটে যাদের স্মার্টফোন নেই তাদের স্মার্ট ফোন কিনে দিতে ১০ লাখ টাকার মত লাগবে, এটা বুয়েটের যে কোনো অ্যালামনাই কিনে দিতে পারেন। শুধু সঙ্কটকালেই নয়, পৃথিবীতে বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চলে অ্যালামনাইদের টাকায়। আমরা কেন সেই চেষ্টা করব না? একটু চিন্তা করতে হবে, একটু সময় দিতে হবে, সেটা না করে আমরা সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকি।”
সঙ্কটকাল ছাড়াও সব সময়ের জন্য ভার্চুয়ালি পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার মতো ব্যবস্থা করতে হবে মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের তা আগেই করতে হচ্ছে।
কিস্তিতে শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ-মোবাইল
কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাইলে শিক্ষার্থীদের জন্য কিস্তিতে ল্যাপটপ বা মোবাইল দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কিস্তিতে শিক্ষার্থীরা যাতে ল্যাপটপ বা মোবাইল নিতে পারে আমরা সেই উদ্যোগ নিয়েছি। ওয়ালটন ও সিঙ্গার বিনা সুদে কিস্তিতে শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ বা মোবাইল হ্যান্ডসেট সরবারহের আশ্বাস দিয়েছে।
“যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উদ্যোগ নিলে তাদের শিক্ষার্থীদের এ সুবিধা দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে দীর্ঘ মেয়াদী কিস্তির সুবিধা দেওয়া হবে। প্রতি মাসে এক থেকে দেড় হাজার টাকায় যেন এ সুবিধা পায় তা নিশ্চিত করা হবে।”
শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দেওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে পলক বলেন, “আমাদের কাছে এটি বাস্তবসম্মত নয়, কারণ বিনামূল্যে দিলে অনেক ক্ষেত্রেই তার গুরুত্ব থাকে না।”
বিনামূল্য বা স্বল্পমূল্যে মোবাইল ইন্টারনেট দেওয়ার বিষয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, “যখন ক্লাস চলবে সেই সময় ধরে প্যাকেজ দেওয়া যায় কি না, এনিয়ে অপারেটরদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।”
‘ফোরজি ডিভাইস ছাড়া সম্ভব নয়’
দেশে যত মানুষ মোবাইল ব্যবহার করেন, তাদের ৩০ শতাংশের হাতে স্মার্টফোন রয়েছে জানিয়ে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলছেন, ফোরজি ডিভাইস ছাড়া অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো সম্ভব নয়।
“ইতোমধ্যে অপারেটরদের ইউনিয়ন পর্যন্ত ফোরজি সেবা পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, এ বছরের মধ্যে সকল উপজেলায় ফোরজি পৌঁছে দেবে।”
জব্বারের ভাষ্য, “এ অবস্থা দাঁড়াবে এনিয়ে আমাদের কোনো পূর্বপ্রস্তুতি ছিল না। আমাদের কাজ অবকাঠামো তৈরি করা, তবে এক্ষেত্রে আমাদের কিছু ত্রুটি আছে, ফোরজি বা উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবা গ্রাম পর্যন্ত যায়নি। ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেও ছাত্রছাত্রীদের হাতে ফোরজি ডিভাইস নেই, এটাও সমস্যা।
“অনলাইনে পাঠাদান নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কী চায়। কারণ ইন্টারনেট ও ডিভাইস সমস্যা সমাধান হলেও কনটেন্ট তো নেই। চক-ডাস্টার দিয়ে লিখে দেখানো অনলাইন শিক্ষা নয়, এ খাতটিকে সুশৃঙ্খল করা দরকার।”
কনটেন্ট তৈরি করা থাকলে ইন্টারনেট প্রয়োজন হবে না বলে মনে করেন টেলিকমমন্ত্রী।
“শিক্ষার্থীদের ফ্রি বই দেওয়া হচ্ছে, পাঁচ বছরের বইয়ের টাকায় যদি একটি করে ট্যাব কিনে দেওয়া যায়, তাহলে একজন শিক্ষার্থীর পাঁচ বছরে কোনো বই প্রয়োজন হবে না, ট্যাবটি আপডেট করলেই চলবে। এসব ক্ষেত্রে পলিসিগত দিক থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
শিক্ষার্থীদের স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট দেওয়ার বিষয়ে জব্বার বলেন, একটি জরিপে দেখা গেছে চুয়েটের ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইনে ক্লাস করতে চায় না, এ বিষয়টিও ভাবতে হবে।
“অপারেটরদের এ বিষয়ে বলা হয়েছে। …অপারেটরদের কাছে পরিচয়পত্র দিয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে কম মূল্যে ইন্টারনেট নিতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সেই প্রস্তাব নিয়ে আসতে হবে।”
অপারেটরা যা বলছেন
মোবাইল ফোন আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদশে মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) যুগ্ম-সম্পাদক মো. মেজবাহ উদ্দিন জানান, দেশে চার কোটির মতো ফোরজি হ্যান্ডসেট ব্যবহারকারী রয়েছেন।
বিভিন্ন কোম্পানি শিক্ষার্থীদের কিস্তিতে হ্যান্ডসেট বা ডিভাইস কেনার সুযোগ দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে নয়টি কোম্পানি হ্যান্ডসেট সংযোজন ও তৈরি করছে। ফলে চাহিদার বিপরীতে স্মার্ট ডিভাইসের স্বল্পতার কোনো সুযোগ নেই।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, সরকার উদ্যোগ নিলে শিক্ষার্থীদের পরিচয় নিশ্চিত করে রাজধানীতে স্বল্পমূল্য ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া সম্ভব।
“তবে উপজেলা ও যেসব ইউনিয়নে সংযোগ রয়েছে সেখানে কম মূল্যে দেওয়া সম্ভব হবে যদি এনটিটিএনগুলো ট্রান্সমিশন খরচ কমায়। ট্রান্সমিশন খরচের জন্য শহরের বাইরে কম মূল্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট দেওয়া সম্ভব নয়।”
আইএসপিএবি’র হিসেবে দেশে বর্তমানে ৮০ লাখের বেশি ব্রডব্যান্ড সংযোগ রয়েছে।
এনটিটিএন কোম্পানি সামিট কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী আরিফ আল ইসলাম বলেন, আইএসপিদের ব্রডব্যান্ড সংযোগে ট্রান্সমিশন খরচ ১৫ থেকে ২০ শতাংশের বেশি নয়। শুধু ঢাকা কেন ইচ্ছা করলেই অন্য এলাকায় ছাত্রছাত্রীদের তারা কম খরচে সংযোগ দিতে পারবে।
ইতোমধ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু করা হয়েছে বলে রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম জানিয়েছেন।
“করোনাকালীন পরিস্থিতিতে আমরা শিক্ষার্থীসহ গ্রাহকদের অসুবিধার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ইন্টারনেট প্যাকেজের মূল্য ৫০-৬০% পর্যন্ত কমিয়েছি। আরও সুলভ মূল্যে ইন্টারেট সেবা দিতে আপৎকালীন সময়ের জন্য আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে অব্যবহৃত বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেছি। এই অব্যবহৃত তরঙ্গ বরাদ্দ পাওয়া সম্ভব হলে ইন্টারনেটের মূল্য আরও কমিয়ে আনা সম্ভব।
ইন্টারনেটসহ সব ধরনের মোবাইল সেবার উপর বাজেটে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এ কর কমিয়ে আনা হলেও তা মূল্য কমাতে সহায়ক হবে বলে মনে করেন সাহেদ আলম।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply